"তরুণ প্রজন্মকে টিকিয়ে রাখতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের করণীয়"
![]() |
Monjil Molla |
বিশ্বায়নের যুগে মোবাইল ফোনে আসক্তি একটি ভয়ঙ্কর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উক্ত সমস্যার কারণে সমাজে দেখা দিয়েছে নানা রকম সমস্যা। যেমনঃ মানসিক সমস্যা, অস্থিরতা, নৈতিকতার অভাব এবং মূল্যবোধের অবক্ষয়। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, এর চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো তরুণ প্রজন্মকে টিকিয়ে রাখা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়,
তরুণ প্রজন্ম বর্তমানে পড়াশোনা বাদ দিয়ে বিভিন্ন ডিভাইসে আসক্ত হয়ে পড়ছে। অভিভাবকদের সচেতনতা, শিক্ষকদের ভূমিকা, সাইবার আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীর আত্মসচেতনতার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
মোবাইল ফোনে আসক্তি থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তথা কোমলমতি শিক্ষার্থীকে দক্ষ জনশক্তিকে পরিণত করা সম্ভব। আমাদের উচিত তরুণ প্রজন্মকে মোবাইল ফোন তথা ইন্টারনেটের সঠিক ও ব্যবহারিক কৌশল শেখানো। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল তথ্যের প্রাচুর্যের ফলে তরুণ প্রজন্মের জন্য সত্য এবং মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
তাদেরকে বুঝতে হবে যে, অনলাইনে পাওয়া তথ্য সব সময় সঠিক নয় এবং এটি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে পরিবেশন করা হতে পারে। এক্ষেত্রে শিক্ষক এবং অভিভাবক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন পাশাপাশি তাদের উচিত কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের সত্য-মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করার প্রক্রিয়া শেখানো, তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের সাথে আলোচনা করা এবং মোবাইল ফোনে আসক্তির নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে তাদের সচেতন করা অতীব জরুরী।
বর্তমানে, বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া এবং নিউজ সাইটগুলিতে ভুয়া তথ্যের ঢল চলছে যা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
গবেষণা অনুযায়ী ভিডিও কনটেন্ট, বিশেষ করে ইউটিউবের মাধ্যমে প্রচারিত মিথ্যা তথ্য বিশ্বায়নের যুগে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আরও বেশি প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বায়নের এই যুগে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নতুন পাঠ্যক্রম এবং কর্মশালা শুরু করা উচিত।
অভিভাবকদের উচিত, তাদের সন্তানদের নিরাপদ ও কার্যকর ভাবে অনলাইনে তথ্য ব্যবহার করতে সক্ষম এবং মোবাইল ফোনে আসক্তি সম্পর্কে সচেতন করে গড়ে তোলা।
ধন্যবাদ স্যার চমৎকার লিখেছেন।🥰🥰
উত্তরমুছুনভালো লিখেছেন পরবর্তী উপদেশ মূলক আলোচনার অপেক্ষায় রইলাম
উত্তরমুছুন