আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, যা বিশ্বব্যাপী ভালোবাসা দিবস হিসেবে পরিচিত। তবে, ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এই দিবসটি পালনের বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে।
ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস:
১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের উৎপত্তি রোমান সাম্রাজ্যের সময় থেকে। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের একজন পাদ্রী সম্রাট ক্লডিয়াসের বিবাহ নিষিদ্ধ করার আদেশ অমান্য করে গোপনে যুবক-যুবতীদের বিবাহ সম্পন্ন করতেন। এ কারণে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, যা ১৪ ফেব্রুয়ারি কার্যকর করা হয়। এরপর থেকে এই দিনটি ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
ইসলামের দৃষ্টিকোণ:
ইসলামে ভালোবাসা একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ। তবে, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস পালনের বিষয়ে ইসলামে কোনো নির্দেশনা নেই। অনেকে মনে করেন, এই দিবসটি পাশ্চাত্য সংস্কৃতি থেকে আগত এবং ইসলামী মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রেম-ভালোবাসা হতে হবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি সর্বোচ্চ। পিতা-মাতা, পরিবার এবং বৈধ সম্পর্কের মধ্যেও ভালোবাসা থাকা উচিত। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ইসলামে হারাম।
বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস:
বাংলাদেশে ১৯৯০-এর দশক থেকে ভালোবাসা দিবস পালিত হয়ে আসছে। তবে, দেশের রক্ষণশীল সমাজ এই দিবস পালনের বিষয়ে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে এবং একে ইসলামী মূল্যবোধের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ মনে করে। ২০২০ সাল থেকে পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস একই দিনে উদযাপিত হচ্ছে, যা দেশের সংস্কৃতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
ইসলামে প্রতিটি দিনই ভালোবাসা প্রদর্শনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে, ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে ইসলামী নীতিমালা ও মূল্যবোধ মেনে চলা উচিত। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস পালনের পরিবর্তে সারাবছরই পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং সকল সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতি প্রদর্শন করা ইসলামের শিক্ষা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
House Of Al Towfiqi https://htorg.blogspot.com/2025/02/towfiq-sultan.html